অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে স্ক্যামিং থেকে বাঁচার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

scamming

বর্তমান সময়ে অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা বেড়েছে, বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রবণতা অনেক বেশি। তবে, এর সঙ্গে স্ক্যামিং বা প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ধরনের প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। নিচে স্ক্যামিং থেকে বাঁচার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেয়া হলো:

১. প্রমোশনের পদ্ধতি: যারা স্ক্যামিং এর উদ্দেশ্যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন, তারা সাধারণত ফেসবুক এ্যাড ব্যবহার করেন না। তারা বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট, ব্যক্তিগত মেসেজ, কিংবা অন্যদের পোস্টে কমেন্টের মাধ্যমে প্রমোট করে। এ ধরনের প্রমোশন থেকে প্রাপ্ত অফারগুলোতে ইনভল্ভ হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। পক্ষান্তরে, ফেসবুক বিজ্ঞাপনের (Sponsored Post) মাধ্যমে প্রমোট করা পণ্য বা সেবা সাধারণত স্ক্যামিং নয়, যদিও গুণগত মান নিয়ে কিছু সংশয় থাকতে পারে।

২. বিক্রেতার লাইসেন্স যাচাই: আপনি যে পণ্য বা সেবা কিনতে চাচ্ছেন তার বিক্রেতার সরকারি লাইসেন্স আছে কি না, তা কেনার আগে যাচাই করা উচিত। অনলাইনে বা অফলাইনে বিক্রির জন্য বৈধ লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন। লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য না পেলে কেনা থেকে বিরত থাকুন।

৩. ফেসবুক পেজের বয়স: যে ফেসবুক পেজ থেকে আপনি পণ্য বা সেবা কিনতে চাচ্ছেন, সেই পেজটির খোলার তারিখ যাচাই করে দেখুন। যদি পেজটি নতুন হয়, তাহলে সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা কম। তবে, পেজটি যদি ১ বছরের বেশি পুরোনো হয়, তাহলে সেটি কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে।

Virtual Visa Card

৪. রিভিউর ওপর অন্ধ বিশ্বাস করবেন না: ফেসবুক পেজের রিভিউ দেখে কনভিন্সড হওয়া ভুল। স্ক্যামাররা ফেইক রিভিউ দিয়ে পেজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। তাই, শুধু রিভিউ দেখে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন।

৫. কমেন্ট যাচাই: কমেন্ট দেখে বিশ্বাস করা ভুল হতে পারে। অনেক সময় পেজের এডমিন নেগেটিভ কমেন্ট মুছে ফেলতে পারেন। সঠিক তথ্য জানার জন্য কমেন্টকারীর প্রোফাইল যাচাই করুন এবং তার সাথে যোগাযোগ করে মতামত জানুন।

৬. গুগল সার্চ: যে পেজ বা পণ্য সম্পর্কে আপনি কিনতে যাচ্ছেন, তা গুগলে সার্চ দিন। তাদের অস্তিত্ব গুগলে না থাকলে, সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা কম। গুগলে পণ্য বা সেবার রিভিউ থাকলে তা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।

৭. প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক একাউন্ট: স্ক্যামার আর রিয়েল বিক্রেতা চেনার আরেকটি উপায় হল তাদের নামে ব্যাংক একাউন্ট আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক একাউন্ট বা পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করলে, তাদের বিশ্বাস করা যেতে পারে। মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি অনলাইনে পণ্য বা সেবা কিনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। সতর্ক থাকুন এবং নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটা করুন।

বিস্তারিত জানতে ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন: